কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার ৩ নং থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদ এর অন্তর্গত কিশামত বানু নালার পার এলাকায় গত ২৪- ১- ২০২৪ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৩:৩০ ঘটিকার সময় জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধের সুত্র থেকে আততর্কিত হামলা এবং রক্তাক্ত ও জখমের ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুতরভাবে আহত হয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ আবু ওয়ারেছ মিয়াঁ এবং তার মামা।
পুরো হামলা এবং রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় প্রধান হামলাকারী ও হুকুম দাতা হিসেবে ছিলেন নালার পার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু তাহের এবং তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষক মোসাম্মৎ শাহিদা বেগম।
হামলার হুকুম পেয়ে হামলায় জড়িত হয় আবু তাহের এর বড় ভাই মোখলেসুর রহমান এবং দুই ভাতিজা সোহাগ ও আশিক।
আহত ওয়ারেছ মিয়ার ভাই মোঃ ইমরুল কায়েছ বলেন, নালারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু তাহের ও তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষক মোসাম্মৎ চাহিদা বেগম এর সাথে আমাদের জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধ চলে আসতেছে দীর্ঘদিন থেকে।
এমতো অবস্থায় আবু তাহের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ২৪-১-২০২৪ ইং তারিখ বুধবার আনুমানিক ৩: ৩০ ঘটিকায় আমার বসতবাড়ির আঙ্গিনায় অনধিকার প্রবেশ করে এবং আমার ছোট ভাই মোঃ আবু ওয়ারেছ কে হত্যার উদ্দেশ্যে রাম দা দিয়ে মাথার উপর স্বজোরে চোট মেরে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত যখম করে।
উক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু তাহেরের স্ত্রী মোসাম্মৎ শহীদা বেগম আমার ভাইকে চিরতরে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা আমার ভাইয়ের ডান পায়ের হাঁটুতে স্বজোরে আঘাত করে এবং গুরুতর হারভাঙ্গা যখম করে।
আবু তাহের ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগমের নির্দেশে তার বড় ভাই মোখলেসুর রহমান এবং দুই ভাতিজা সোহাগ ও আশিক আমার মামাকে চিরতরে অন্ধের জন্য ডান চোখে গুরুতর কাটা ও যখম করে।
শুধু যখম ও রক্তাক্ত করে ক্ষান্ত হয়নি, এলোপাথাড়ি মারপিট করিয়া নগদ টাকা, চেক বহি, স্বর্ণের চেইন, চুরি করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এখনো প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রাখছে। আমি এবং আমার পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি
তাই আমি বাদী হয়ে চিলমারী মডেল থানায় ২৬/১/২৪ ইং রাত ০৮:৩০ ঘটিকায় একটি মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক জানান যে, বাদী মোহাম্মদ ইমরুল কায়েছ, পিতা মৃত আনিছুর রহমান আসামি মোহাম্মদ আবু তাহের , মোসাম্মৎ শহীদা বেগম, মোঃ মোখলেছুর রহমান , মোঃ সোহাগ মিয়া , মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম আশিক এর বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট , গুরুতর জখম, নগদ টাকা, চেক বহি, স্বর্ণের চেন চুরি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন।
অফিসার ইনচার্জ আরো জানান, আসামির বিরুদ্ধে ধারা ১৪৩ /৪৪৭/ ৩২৫/ ৩২৬ /৩০৭ /৩৭৯/ ৫০৬/ ১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সাথে চুরি যাওয়া ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধারের মামলা দেয়া হয়েছে। উক্ত মামলাটি সাব ইন্সপেক্টর দিলীপ কুমার রায় তদন্ত করবেন।