রাজনীতিসর্বশেষ

বিএনপি সন্ত্রাসী হলে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের জনক -ফখরুল

আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বিএনপি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এখন নতুন সুর শুরু করেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রীও এ কথা বলেছিলেন। বিএনপি যদি সন্ত্রাসী দল হয় তাহলে আপনি কী? তুমি সন্ত্রাসের জনক।

সন্ত্রাস
মির্জা ফখরুল

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সেমিনারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। সোনালী দল, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের উদ্যোগে ‘কৃষি উপকরণ ও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি: সরকারি অব্যবস্থাপনা-কৃষক ও জনগণের আশা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে উল্লেখ করে সেমিনারে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রকে সম্পূর্ণ সন্ত্রাসের রাজত্ব বানিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চান।

সন্ত্রাসী

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সেমিনারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। ছবি: শুভ্র কান্তি দাস
সেমিনারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনজীবন স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, এখন অবস্থা মরার মতো।

বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নজিরবিহীন। সব দেশেই কিছু দাম বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে যে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে তা অবিশ্বাস্য, অভূতপূর্ব মূল্যবৃদ্ধি। এর জন্য অনেক কারণ রয়েছে। এর প্রধান কারণ সরকারের দায়িত্বহীনতা।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, অনেক প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য চুরি। এমন চুরি, যার মূল্য এক কোটি টাকা হতো, তার মূল্য তিন কোটি টাকা। কি হবে 10 কোটি, অর্থাৎ 20 কোটি টাকা।

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বিএনপি নেতা ফখরুল বলেন, “সবাই (সরকারি কর্মকর্তা) কমবেশি প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত। প্রকল্পের সাথে জড়িত থাকলে টাকা আসে। অবস্থা এমন যে সাধারণ মানুষ ডিম, ডাল, সবজি কিনতে পারছে না। কিন্তু ইউএনও ও ডিসিকে নির্বাচনী ঘুষ দিতে ৩৬৫ কোটি টাকায় নতুন গাড়ি কেনা হচ্ছে। তাদের আলাদাভাবে অর্থ প্রদান করা হয়। এরই মধ্যে ডিসি-এসপিদের কাছে টাকা পৌঁছে গেছে যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

সন্ত্রাসী

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি যখন শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছে, তখন আমাদের কোনো উপায় নেই, আমরা খালি হাতে। আমাদের কাছে বন্দুক বা পিস্তল নেই যে আপনাকে ভয় দেখাতে এবং গ্রেফতার করতে। ডিবিতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করব। আমার সেই ক্ষমতা নেই।” তিনি বললেন, “আমার একটাই ক্ষমতা আছে। জনগণকে সংগঠিত করে, জনগণকে বলছে, এ অবস্থা থেকে বের হতে চাইলে, মুক্ত হতে চাইলে কোনো উপায় নেই, রাস্তায় নামতে হবে। এই রাস্তায় বের হওয়াটাই বড় ব্যাপার।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সহ-সভাপতি আবদুল আউয়াল, রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা অধ্যাপক তজমেরী এস এ ইসলাম, আবদুস সালাম প্রমুখ।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সোনালী দলের সভাপতি প্রফেসর গোলাম হাফিজ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ। অভিযান পরিচালনা করেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।

আরও পড়ুন
বিএনপি ঢাকাকেন্দ্রিক টেকসই কর্মসূচির কথা ভাবছে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button